আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখন এ বিষয়ে বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তার ঘাটতি লক্ষণীয়।
গতকাল সোমবার (১ নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিসিজেএফ) আয়োজিত ‘গ্লাসগো ২৬ সম্মেলন : বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ২০০৯ সালে বিশ্বের দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হতে পারলেও বিভিন্ন দেশ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখনো পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাপমাত্রা ইতোমধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চুক্তির লক্ষ্য ছিল প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির মধ্যে উষ্ণতা রাখা।
সাবেক এই বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোসহ বাংলাদেশের ওপর এর সরাসরি প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, মরুময়তা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির সাথে ঋতুবৈচিত্র্যের অসামঞ্জস্যসহ নানা পরিবর্তন সুস্পষ্ট’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ দেশগুলোর চেয়ারপার্সন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উষ্ণায়নের জন্য দায়ী দেশগুলো যাতে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে, সেজন্য নানা আন্তর্জাতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে বিরোধী দল বিএনপি শুধু সরকারের সমালোচনা আর নির্বাচন বর্জনের অপরাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে বিসিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমানের সভাপতিত্বে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন স্বাগত বক্তব্য ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান \’কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন : বাস্তবতা ও আমাদের প্রত্যাশা\’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া।