টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথমবারের দেখায় বড় জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যতায় বাংলাদেশকে অল্প রানে আটকে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে জেসন রয়ের ঝড়ো ইনিংসে আট উইকেটের জয় পেয়েছে ইংলিশরা। টানা দুই ম্যাচে জিতে টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে ইয়ন মরগ্যানের দল।
আজ বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ৫ ওভার ৫ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে ৩৮ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রয়। এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে এসে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ করে বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার জেসন রয় ও জস বাটলারের ৩৯ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাটলার। তিনে এসে রসের সঙ্গে দারুণ ব্যাট করেন ডেভিন মালান। দলীয় শতকের সময় নাসুমকে ছয় মেরে ব্যক্তিগত অর্ধশতকও তুলে নেন রয়। পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৩৩ বলে ফিফটি করেন তিনি।
জয়ের খুব কাছাকাছি এসে শরিফুলের শিকার হন রয়। ৩৮ বলে ৬১ করা এই ওপেনারকে নাসুমের তালুবন্দিতে ফেরান তিনি। শেষের দিকে জনি বেয়ারস্টের ৮ ও মালানের ২৮ রানে ভর করে আট উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
এর আগে, ব্যাট করতে আসেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস। প্রথম ওভারে মইন আলীকে দুটি চার মেরে দারুণ কিছুর আভাস দেন লিটন। কিন্তু মইনের দ্বিতীয় ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দুই চারে ৮ বলে ৯ রান করেন তিনি। পরের বলে আরেক ওপেনার নাঈম শেখকেও ফেরান এই স্পিনার। আগের ম্যাচে ফিফটি করা এই ব্যাটসম্যান ফেরেন মাত্র পাঁচ রানে।
দলের বিপদে ত্রাতা হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ৭ বলে ৪ রানের ব্যর্থ ইনিংসে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ক্রিস ওকসের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটে বলে হয়নি সাকিবের। শটফাইন লেগে আদিল রশিদের তালুবন্দি হন তিনি। এরপর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে খানিকটা ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুশফিকের রিভার্স সুইপে ৩৭ রানের এই জুটি ভাঙেন লিয়াম লিভিংস্টোন। লেগ বিফোরের আপিলে ৩০ বলে ২৯ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান লিভিংস্টোন।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে সেট হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে জোড়া রান নিতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝিতে রানআউটের শিকার হন তিনি। ৬ বলে করেন পাঁচ রান। দলের চাপে প্রতিরোধী কিছুই করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। ২৪ বলে মাত্র ১৯ রান করে ফেরেন তিনি।
শেষের দিকে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে জুটি গড়ে স্কুপ করতে গিয়ে আউট হন শেখ মেহেদী। ১০ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে রশিদকে দুটি ছয় হাঁকিয়ে রানের চাকা ঘুরিয়ে দেন নাসুম। তার ৯ বলে অপরাজিত ১৯ রানে লড়াকু পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।