চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে নববধূকে তালাক দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সবুজ আলী নামের সেই বর আবারও বিয়ে করেছেন। গতকাল সোমবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনারদাড়ি গ্রামে বরের বাড়িতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ায় মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার পর রাতেই বরপক্ষ ও কনেপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ওই নববধূকে তালাক দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বর সবুজ আলী বলেন, ‘বিয়ের দিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কনে পক্ষের লোকজন আমার পক্ষের কয়েকজনকে মারধর করে আহত করে। পরে ওইদিন রাতে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। রাতেই কনে আমার সঙ্গে কথা বলে। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার সকালে কনে আমার বাড়ি চলে আসে। রাতে আমরা আবারও বিয়ে করি। আমার স্ত্রী সুর্মি আক্তার সুমি বর্তমানে আমাদের বাড়িতেই আছে।’
বরপক্ষ সূত্রে জানায়, বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার রহিম আলীর ছেলে সবুজের সঙ্গে গত রোববার একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুর্মি আক্তার সুমির বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেওয়া হয়। বর সবুজের সঙ্গে খেতে বসেন তার বন্ধুসহ আত্মীয়-স্বজনরা। খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও মাংস চান।
ওই সময় আরও মাংস দিতে কনেপক্ষ অপরাগতা প্রকাশ করলে উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এ ঘটনায় কনেপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, বরপক্ষের লোকজন ভাত না খেয়ে শুধু মাংস খেতে থাকেন। বারবার মাংস চাওয়াতে তারা পরে দেবেন বলে জানালে বরপক্ষের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হন। তারা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
যদিও এ ঘটনায় কোনোপক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেনি। সন্ধ্যায় আহত তিনজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতে বিয়ে বিচ্ছেদ হয় ওই দম্পতির। তবে তা সোমবার জানাজানি হয়।