দুজনেই বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসুরী। একজন তাঁর নিজের দল রিপাবলিকের।
আর একজন সদ্য প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটিক দলের। যাঁর জায়গায় ক্ষমতায় এসেছেন ট্রাম্প। প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামা আলাদা জায়গায় ভাষণ দিলেও তাঁদের বক্তব্যের সুর একই ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিরস্কার।
মার্কিন রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বুশ ও ওবামা। গতবছরে মার্কিন নির্বাচনের সময় থেকেই বুশ ট্রাম্পের প্রতি বিরক্ত। তিনি নিজের রিপাবলিক দলের প্রার্থী থাকলেও ট্রাম্পকে ভোট দেননি। যা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল।
বুশ বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সরকারের উপরে মানুষের আস্থা কমেছে।
প্রয়োজনের সময়ে প্রশাসন মুখ থুবড়ে পড়ছে। অর্থনৈতিক উন্নতিতে নানা বাধা তৈরি হচ্ছে। অসন্তোষ বাড়ছে, ফলে বিরোধের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যার ফলে রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের অবকাশ তৈরি হচ্ছে যা কাম্য নয়।
এই অনুষ্ঠানে বাকী অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বুশের সহধর্মিনী লরা বুশ, প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস, জাতিসংঘের বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি।
আর একটি অনুষ্ঠানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা-ও হাজির ছিলেন। এই প্রথমবার নাম না করেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন তিনি। যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ট্রাম্প আমদানি করেছে তার তীব্র সমালোচনা করেন ওবামা।
ওবামা বলেন, রাজনীতিতে বিভাজন তৈরি হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দিতে দাঁড়িয়ে আমাদের উনবিংশ শতাব্দিতে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা সঠিক নয়।
এর আগে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের এভাবে বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে সমালোচনা করতে দেখা যায়নি। বুশ ও ওবামা ট্রাম্পের নাম না নিলেও যেভাবে তাঁকে কড়া সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন তা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ