আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সময়ে এসে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতলেন। আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে কোপার শিরোপা দিয়ে। শিরোপা জিতেই সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটেছেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার। এবার তার চোখ সপ্তম ব্যালন ডি’অরের দিকে। চলতি আসরের ব্যালন ডি’অর জিততে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। যদিও এই তালিকায় মেসি একা নন, তার কাছাকাছি অবস্থান করছেন অনেকেই।
চলতি মৌসুমে মেসি সবার উপরে অবস্থান করছেন ৪৭ ম্যাচে ৩৮ গোল করে। এই সময়ে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৪ গোল। কোপা আমেরিকার এই আসরে ৯ গোলে সরাসরি অবদান রাখেন মেসি। তার মধ্যে ৪ গোল নিজে করেন, অন্য পাঁচটি সতীর্থদের দিয়ে করান। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ২৬ ম্যাচে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। সেইসঙ্গে জিতে নিয়েছেন পিচিচি পুরস্কার। জিতেছেন কোপার এই আসরের গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল।
লা লিগার শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও মেসির ক্লাব বার্সেলোনা শিরোপা জিততে পারেনি। তবে কাতালানরে কোপা দে রে’র শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন মেসি। লিগ শিরোপা না জিতলেও লিগে সর্বোচ্চ গোল করেছেন এলএম টেন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খুব একটা পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি।
এই সময়ের আলোচিত তরকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমার জুনিয়র নেই লিওনেল মেসির ধারে কাছেও। লিগ শিরোপা কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোনোটাই জিততে পারেননি পিএসজির এই দুই তারকা ফরোয়ার্ড। তাদের মতোই এবার সিরি আ জিততে ব্যর্থ হন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ডেন বুট জিতলেও শেষ ষোলতে বিদায় নেয় তার দল পর্তুগাল। যার কারণে মেসির সঙ্গে পেরে উঠতে পারবেন না তাদের কেউ। তবে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মান লিগে ইতিহাস গড়া লেভানদোভস্কি এই তালিকা এগিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিংবা ইউরোতে তার পারফরম্যান্স সাদামাটা হওয়ায় সম্ভবনা নেই গতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকার।
যদিও ইতালির দুই ডিফেন্ডার জিওর্জিও কিয়েল্লিনি এবং লিওনার্দো বোনুচ্চিও মেসির সঙ্গে ব্যালন ডি’অরের দাবিদার। ইতালিকে ৫৩ বছর পর ইউরো জেতাতে এই দুইজনের অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের সঙ্গে আছেন চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতানো ফ্রান্সের মিডফিল্ডার এনগোলা কন্তে এবং ইংলিশ তারকা ম্যাসন মাউন্ট।