তুরস্কে বাংলাদেশিসহ ১২ জন নিহত হয়েছে অভিবাসনপ্রত্যাশী বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনায়। আজ রোববার (১১ জুলাই) ইরান সীমান্তসংলগ্ন তুরস্কের মুরাদিয়া জেলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি বাস রাস্তার পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে আগুন ধরে যায়। এতে বাসে থাকা ওই ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়।
তুরস্কের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় আরও ২৬ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত বা আহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনায় বাসটির চালককে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এর আগে, গত শুক্রবার তুরস্ক সীমান্তবর্তী ভূমধ্যসাগরে ১২৭ অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। ওই ঘটনায় অন্তত ৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত সপ্তাহের শুরুর দিকে লিবিয়ার জুয়ারা থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রাকালে ২ জুলাই তিউনিশিয়ার উপকূলবর্তী শহর জারজিস পৌঁছালে নৌকাটি ডুবে যায়। দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রায় নিয়মিত অকালমৃত্যু উদ্বেগ প্রকাশ করে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এসব ঘটনায় শুধু চলতি বছরই ৮৬৬ অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। তুরস্ক বা লিবিয়া কেউ অনিয়মিত অভিবাসনের উৎস নয়। বরং আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় নানা অস্থিতিশীলতা, দ্বন্দ্ব এবং দারিদ্র্যই অভিবাসনের মূল কারণ।
প্রসঙ্গত, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রবেশপথ হচ্ছে তুরস্ক। মানুষ বহু বছর ধরে ইউরোপে যাওয়ার জন্য এই পথটি ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই পথটি ব্যবহার করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। ২০১৫ সাল এ পর্যন্ত কয়েক লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী তুরস্ক থেকে গ্রিসের ওপর দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স