যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইল তাদের নীতি পরিবর্তন না করবে মধ্যপ্রাচ্যে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না মন্তব্য করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরাইলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে তুরস্ক কখনও চুপ ছিল না এবং ভবিষ্যতেও তারা চুপ করে বসে থাকবে না।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (১০ জুলাই) ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং ফিলিস্তিন-তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তর। যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সম্ভব হবে না মন্তব্য করেন এরদোয়ান। বলেন, ইসরাইলি নৃশংসতার বিপরীতে তুরস্ক কখনোই চুপ করে থাকবে না। এ সময় তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন।
ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘণ্টাব্যাপী একটি বৈঠকের পর এরদোয়ান ও মাহমুদ আব্বাসের সোয়া ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে ফিলিস্তিনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইসরাইলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত এপ্রিলে ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় ২১২ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
এ ছাড়া গত ২৫ জুন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত মানবাধিকার কর্মী নিজার বানাত আটকাবস্থায় মারা যান। এসব ঘটনায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সরকার এবং তার দল ফাতাহ ফিলিস্তিনিদের বিরাগভাজন হয়। এসব ঘটনা নিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবি করেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় মাহমুদ আব্বাসের জনপ্রিয়তা ব্যাপক মাত্রায় ধস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতাদের সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন মাহমুদ আব্বাস।