৯ বছরের বাচ্চা মেয়েটি ভাবতেও পারেনি দুষ্টুমি করার জন্য এমন শাস্তি পেতে হবে তাকে। পাশের বাড়ির আত্মীয়ার হাতে নিজের প্রাণটাই খুইয়ে বসতে হবে!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে ফ্লোরিডার বাসিন্দা ডেরিকা লিন্ডসে এক ৯ বছরের ফুটফুটে বালিকা। ছটফটে স্বভাবের মেয়েকে নিয়ে নাজেহাল বাবা-মা পাশের বাড়ির আত্মীয়া ভেরোনিকা গ্রিন পসিকে ডেকে পাঠান। তাঁদের কথাতেই মেয়েটিকে শায়েস্তা করার দায়িত্ব নেন ভেরোনিকা। এর পরই ঘটে যায় অঘটন।
জানা যায় স্কেল ও ধাতব পাইপ দিয়ে ডেরিকাকে মারতে চেষ্টা করেন ভেরোনিকা। কিন্তু ডেরিকাকে তিনি ধরতে পারেননি। তার অন্যতম কারণ, ভেরোনিকার ওজন ১৫০ কেজি। পৃথুলা ভেরোনিকাকে সহজেই ছোটার গতিতে হার মানায় ছোট্ট ডেরিকা। সুবিধা করতে না পেরে মরিয়া হয়ে ওঠেন ভেরোনিকা। এই সময়ই একটি চেয়ারের দিকে ছুটে যায় ডেরিকা। তাকে বেকায়দায় পেয়ে যান ভেরোনিকা। চেয়ারে ডেরিকাকে উঠিয়ে নিজেই তার উপরে বসে পড়েন তিনি! ভেবেছিলেন, আচ্ছা জব্দ হবে ডেরিকা। কিন্তু এক বারও ভেবে দেখেননি, ওই বিপুল ওজনের তলায় মেয়েটির দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
শেষ পর্যন্ত তাই হয়। টানা ১০ মিনিট ডেরিকার উপরে বসে থাকেন ভেরোনিকা। ডেরিকা দম আটকে আসার কথা জানিয়ে ছিলও। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি ভেরোনিকা। এর পরই আবিষ্কৃত হয় ডেরিকা আর বেঁচে নেই! শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে সে।
ভেরোনিকা ও ডেরিকার বাবা-মা— সকলকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ভেরোনিকা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ফ্লোরিডার শিশু ও পরিবার বিভাগের বক্তব্য, শাস্তি সকলেই পাবে। একটি কচি ফুটফুটে এমন করে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিলেন যাঁরা, তাঁরা কেউই রেহাই পাবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম