দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে ‘কঠোর লকডাউনের’ ঘোষণায় শিবচরের বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। শনিবার (২৬ জুন) সকাল থেকেই যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
ফেরিতে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। তবে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় খুব বেশি নেই। গত তিন দিনের তুলনায় শনিবার ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় কমেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে শনিবার সকাল থেকে ১৪টি ফেরি চলছে। শিমুলিয়া থেকে অসংখ্য যাত্রী বাংলাবাজার ঘাটে এসে নামছে। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় ফেরিতে যানবাহনের সংখ্যা কম রয়েছে। এদিকে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় কিছুটা কমেছে বাংলাবাজার ঘাটে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের খবরে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন। ভোর থেকেই ফেরিতে গাদাগাদি করে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে নামছেন যাত্রীরা। ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই পারাপার হচ্ছেন তারা। বাংলাবাজার ঘাটে নেমে ছোট যানবাহনে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। গণপরিবহন না থাকায় বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে বাড়ি ফিরতে।
বরিশালের যাত্রী ফজলুর রহমান বলেন, ২৮ জুন থেকে সব বন্ধ। ঢাকায় থেকে কী করবো? বাসাবন্দি হয়েই তো থাকতে হবে। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইব্রাহিম বলেন, ঢাকায় রঙের কাজ করি। লকডাউনে সব বন্ধ থাকলে কাজও বন্ধ থাকবে। এজন্য বাড়িতে যাচ্ছি। লকডাউন শেষ হলে ঢাকায় ফিরবো।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার রেহেনা পারভীন বলেন, লকডাউনের কয়দিন বাড়িতে থেকে আসবো। ঢাকায় ঘরে থাকার চেয়ে বাড়িতে থাকা অনেক ভালো।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক ভজন সাহা বলেন, শনিবার ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি। ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন বাড়ি ফিরছেন। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী চাপ বেশি। তবে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ অন্য দিনের চেয়ে কম রয়েছে। ঘাটে আটকে থাকা পণ্যবাহী পরিবহনও পারাপার করা হচ্ছে।