উত্তরাঞ্চলের জেলা রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুমাইয়া খাতুন নামে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) দিনগত রাতে গোদাগাড়ী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (২০ জুন) সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতেই টিভি দেখে। এরপর একা ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েটিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের পালার নিচে সুমাইয়ার নিথর মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে কাঁকনহাট পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এখন নিহত শিশুর মরদেহ ঘটনাস্থলেই আছে। পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুর যৌনাঙ্গে রক্ত দেখা গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে রাতের যেকোন এক সময় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ খড়ের পালার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর পর এ ঘটনায় গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা হবে। বর্তমানে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কমকর্তা।