নতুন ১৮ ওয়ার্ড নগরায়নে বিস্তৃত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছেঃ মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) এর মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন যে, নতুন সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ড নগরায়নে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

তাপস বলেন, আমাদের কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে যেমন যাত্রাবাড়ী, ডেমরা। এলাকাগুলোতে এখনো নগরায়ন সম্পন্ন হয়নি, উন্নত হয়নি। করপোরেশনের নতুন এ ১৮টি ওয়ার্ড ইউনিয়নভুক্ত ছিল, সেগুলো এখন করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নগরায়নের বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। আমরা শিগগিরই সেখানে কাজ শুরু করবো।

কোরবানির পশুরহাট সম্পর্কে তিনি বলেন, যেহেতু করোনা পরিস্থিতি, তাই আমরা মাত্র ১৩টি হাট ইজারা দিয়েছি এবং করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সেগুলো দূরে দূরে দিয়েছি। হাটগুলোতে যাতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা হয় সেজন্য আমরা সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজ আমরা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) উদ্বোধন করেছি। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক এসটিএস নির্মাণ করছি। যার মাধ্যমে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের বর্জ্যগুলো এখানেই সংগৃহীত হবে এবং এখান থেকে বর্জ্যগুলো মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে চলে যাবে। সুতরাং ঢাকা শহরকে সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত স্থানের বর্জ্য থেকে আমরা মুক্ত রাখতে পারবো।

এরপর তাপস নগরীর আজিমপুর ও বঙ্গভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলস্থ মুসা খাঁ ও ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ\’র সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মো. খায়রুল বাকের প্রমুখ।

Scroll to Top