বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। এখন নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান তিনি। রবিবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
পরীমণি জানান, গত বুধবার পরীমণি তার নিজের কস্টিউম ডিজাইনার জেমীর অসুস্থ মাকে দেখতে যেতে চান। এ কথা শুনে পরী ও জেমীর সঙ্গে তাদের পূর্বপরিচিত অমিও যেতে চান। জেমীর মাকে দেখতে যাওয়ার পথে উত্তরা বোটিং ক্লাবের কাছে গিয়ে অমি জানান তার সেখানে একটু কাজ আছে। এরপর বিরুলিয়ার ওই ক্লাবে নাছির উদ্দিন মাহমুদের কাছে নিয়ে যায় অমি।
সেসময় ওই ব্যক্তি নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর সেখানে ১০ মিনিট বসার পর জেমী ওয়াশরুমে যেতেই তাকে সেখানে আটকে দেওয়া হয়। এসময় নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ চার-পাঁচজন ব্যক্তি এসে পরীকে মদের অফার করেন। কিন্তু পরীমণি তাতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয় এবং চড়-থাপ্পড় মারা হয়। এমনকি ধস্তাধস্তি করে পরীর গায়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানান পরীমণি।
তিনি আরও বলেন, ‘নাসির উদ্দিনসহ উপস্থিত চার-পাঁচজন আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। আমাকে আটকে ফেলে। জোর করে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করে। জিমিকে মারধর করা হয়। অশ্লীল নানা কথাবার্তা বলা হয়। মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।’ নাসির উদ্দিন তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন পরীমণি।