করোনা টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দুর্ভাগ্যজনক: ন্যাপ

বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া জানিয়েছেন যে, ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন (টিকা) সরবরাহ বন্ধ, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে করোনার ভ্যাকসিন আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো সংশ্লিষ্টদের অদূরদর্শিতায় টিকা কূটনীতিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

আজ রোববার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, কোটি কোটি টাকা মুনাফার লক্ষ্যে টিকা আমদানি হয়েছে। এ কারণেই টিকা পেতে বিকল্প উৎস রাখা হয়নি। তিন পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৫০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা মেলেনি।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্তারা প্রতিদিন করোনার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ঢেউয়ের ভয় দেখাচ্ছেন। এজন্য জনগণকে দায়ী করে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রস্তুতির কথা স্পষ্ট করতে পারছেন না।

নেতৃদ্বয় বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ প্রথমেই ভ্যাকসিন এনে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারলেও এখন ভ্যাকসিন আনা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সরকারি মহল থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। ভ্যাকসিন সংগ্রহে মাত্র একটি উৎসে নির্ভরতা, একক ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষায় অন্য উৎস থেকে ভ্যাকসিন আনায় বাধা দান এবং ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি ও কূটনীতি সরকারের প্রাথমিক সাফল্যকেই শুধু ম্লান করেনি, জনগণের জীবন ও জীবিকাকেও ঝুঁকিতে ফেলেছে।

তারা বলেন, সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আটকা পড়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা। মানুষের জীবনই প্রধান বিষয়; সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি, ব্যর্থতা ও অদক্ষতা আরেকবার প্রকট হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। এখন সরকারিভাবে কত দ্রুত করোনার টিকা দেওয়া হবে, দেশের মানুষ সেদিকেই তাকিয়ে আছে।

Scroll to Top