চার দফা দাবিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগ এর প্রশাসনিক অঞ্চল গাইবান্ধায় আধাবেলা হরতাল পালন করেছে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা র্পযন্ত হরতাল পালন করা হয়।
সকাল থেকেই হরতালকারীরা জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ সড়কের মোড়ে মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। তারা হাসান হত্যার বিচারের দাবি ও গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানের অপসারণ চেয়ে স্লোগান দেন।
হরতাল চলাকালে শহরের দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রিকশা-ভ্যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে দূরপাল্লার কিছু যানবাহন চলেছে।
ওসি মাহফুজার রহমানের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে গত ৩১ মে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে অবস্থান র্কমসূচি পালন করে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। অবস্থান র্কমসূচি থেকে সাত দিনের মধ্যে সদর থানার ওসির অপসারণের আহ্বান জানানো হয়ছিল।
বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অপসারণ না হলে ১০ জুন হরতাল পালনের হুঁশিয়ালি বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানের অপসারণ, হাসান হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার, সদর থানার অভিযুক্ত পরির্দশক (তদন্ত) মজিবুর রহমান ও সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) মোশারফ হোসেনকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং জেলায় অবৈধ দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা।
গাইবান্ধা জেলা শহররে খানকা শরীফ সংলগ্ন নারায়নপুর এলাকার বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগরে উপ-দপ্তর সম্পাদক দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাসা থেকে গত ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলশি। নিহত হাসান আলী শহররে থানাপাড়া এলাকার মৃত হজরত আলীর ছেলে এবং আফজাল সুজ গাইবান্ধা শাখার সাবেক মালিক। মরদেহ উদ্ধারের পর পরই মাসুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী বিথী বেগম সদর থানায় মাসুদ রানাসহ তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্য দু’জন হলেন- জেলা শহরের স্টেশন রোডের জুতা ব্যবসায়ী রুমেল হক ও খলিলুর রহমান ওরফে বাবু মিয়া। এই দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।