অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশকে টিকা সরবরাহ শুরু করতে যাচ্ছে। জুনের মধ্যে মোট আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে দেশটি। এর মধ্যে প্রথম দফায় বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১৬টি দেশে পাঠানো হচ্ছে ৭০ লাখ ডোজ।
গত বৃহস্পতিবার টিকা বিতরণের এই রূপরেখা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের।
বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা এর আগে ছয় কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের ঘোষণা দিলেও এখন তা বাড়িয়ে আট কোটি করা হচ্ছে। এ মধ্যে প্রথমেই পাঠানো হবে আড়াই কোটি ডোজ। এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বরাদ্দ ৭০ লাখ টিকা বাংলাদেশ ছাড়াও পাবে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, পাপুয়া নিউগিনি, তাইওয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ। এসব টিকা পাঠানো প্রক্রিয়াধীন বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে।
কোন দেশকে কত টিকা দেওয়া হবে তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। তবে শুরুতে এক একটা দেশ সর্বোচ্চ চার-পাঁচ লাখ ডোজ পেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র দেবে জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। এই তিনটি টিকাই জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অস্কফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৪০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছিল। কিন্তু প্রথম দফায় এ টিকা দেওয়া হচ্ছে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্র সরকার এখনও এ টিকাটির অনুমোদন দেয়নি। দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ছয় কোটি টিকা পড়ে আছে।
বাংলাদেশে অপফোর্ডের টিকা গ্রহণকারী প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ একই টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভা’রত সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।