মধ্য প্রাচ্যের দেশ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি হলেও ইহুদিবাদীদের ভবিষ্যত আগ্রাসন বন্ধে নতুন করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হামাস।
এরই মধ্যে গাজায় হাজার হাজার নতুন রকেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের একজন পলিটব্যুরো নেতা। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার পর গাজার রকেট নির্মাণ কারাখানাগুলো আবার চালু হয়েছে।
হামাস নেতা ফাতনি হামাদ রবিবার গাজায় এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, “ইসরায়েলের সর্বশেষ আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার পর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন রকেট উৎপাদন প্রক্রিয়া আবার শুরু করেছে।”
তিনি বলেন, “বায়তুল মুকাদ্দাস ও আল-আকসায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দমন অভিযান রুখে দিতে আমাদের কারখানা এবং ওয়ার্কশপগুলোতে হাজার হাজার রকেট নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে।”
চলতি মে মাসের গোড়ার দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক দমন অভিযানের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। দখলদার ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়।
ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা থেকে ইসরায়ৈলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করতে থাকে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন। তারা এই ১২ দিনে জেরুজালেম, তেল আবিব এমনকি দূরবর্তী হাইফা শহরে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইহুদিবাদীদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। ফিলিস্তিনিদের রকেটের পাল্লা ও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা দেখে তেল আবিব ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়।