বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন যে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
চিকিৎসকরা আশাবাদী যে, এ জ্বর হয়তো আর আসবে না। আজ রোববার (৩০) সকালে শেরে বাংলানগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মির্জা ফখরুল।
এর আগে গত শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সুচিকিৎসার কারণে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তারা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন যে এ জ্বর হয়তো আর আসবে না। তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুঃখ হয়, যে নেত্রী আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর কারানির্যাতন ভোগ করেছেন, তাকে তার চিকিৎসার জন্য আজকে সুযোগ দেওয়া হয় না। বার বার করে বলা হয়েছে যে তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার। বার বার করে বলা হয়েছে তাকে নিঃসন্দেহে একটা অ্যাডভান্স হসপিটালে-সেন্টারে চিকিৎসা ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু সরকার তাদের প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
গত ১০ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তখন তিনি গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা প্রথম দিকে বলেছিলেন, করোনার কোনো উপসর্গ তার মধ্যে নেই। ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। ওই দিনই তাকে ভর্তি করা হয়। ৩ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়। এক মাসেরও বেশি সময় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। ফলে এভারকেয়ার হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।