প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ দুই দশক পরে বিশুদ্ধ পানির আওতায় এসেছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার ৫৮১৫ পরিবার। ১৯৯৮ সালে এ পৌরসভাটি ‘গ’ শ্রেণিতে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর দুই ধাপ এগিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়।
কিন্তু বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত ছিলেন পৌরবাসী। পৌরসভার নিজ মেহার এলাকায় ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ৪০ পৌরসভা ও গ্রোথ সেন্টার অবস্থিত পানি সরবরাহ এবং এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হয়।
রোববার (৩০ মে) বিকেলে পৌরসভার নিজ মেহার এলাকায় সাড়ে ৪ লাখ ঘনমিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ণির্মিত এ পানি শোধনাগার উচ্চ জলধারা ভার্চ্যুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য, সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।
পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা নির্মাণের জন্য ৮০ শতাংশ ভূমিদাতা হচ্ছেন পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল লতিফ।
শাহরাস্তি পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫৮১৫ পরিবারের মধ্যে ভূগর্ভস্থ গভীর ৩টি নলকূপের মাধ্যমে ৮.৮ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়। এতে পৌরসভার ২৮২ জন গ্রাহক পৌরসভার সরবারাহকৃত পানির আওতায় আসেন। এর মধ্যে হাউজ কানেকশন ছিল মাত্র ১৮২টি।
শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র আবদুল লতিফ বলেন, ২০১৮ সালে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা প্রকল্পটি আমার নজরে এলে আমাদের সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলাপ করি। তিনি সার্বিক সহেযাগিতার আশ্বাস দিলে পৌরসভার পক্ষ থেকে এটির নির্মাণ কাজের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দুই বছরের কিছু বেশি সময়ে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আশা করি, পৌরবাসী আগামী ৩০ বছরেও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়বেন না।
উচ্চ জলধারা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শাহরাস্তি উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন উচ্চ জলাধারাটি প্রতি ঘণ্টায় আড়াই লাখ ঘনমিটার পানি সরবার করতে পারবে। ভূ-পৃষ্ঠস্থ এ উচ্চ জলধারা নির্মাণের জন্য ২৭ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করার জন্য সর্বাধিক আধুনিক ফিল্টার পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। ডাকাতিয়া নদী থেকে এর পানি পাম্পে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি নির্মাণ করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।