১৯৭১ সালে পাকিস্তান নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে যেভাবে বাঙালিকে হত্যা করেছে এজন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আমরা ক্ষমা চাইতে বলছি।
কিন্তু ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এক বক্তব্যে বলেছেন, পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে। এটা উনার বক্তব্য না। এ পুরো বক্তব্য বিএনপির। আমি এ বক্তব্যের নিন্দা জানাই।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে থেকে ক্ষমা চাইবে। কিন্তু জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছেন পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে। আমরা আশা করি পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির সঙ্গে পাকিস্তান যে অন্যায় করেছে সে অন্যায়ের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সারাহ কবরীকে স্মরণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন কবরী। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে এমপি হয়েছেন। এত স্বল্প সময় চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। তিনি একজন কর্মঠো ব্যক্তি ছিলেন। কবরী শুধু একজন অভিনয় শিল্পী ছিলেন না তিনি আওয়ামী লীগের একজন দক্ষ কর্মীও ছিলেন। সারাজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, করোনায় শুধু কবরী মৃত্যু হয়নি। দেশের আরও অনেক বরেণ্য ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দেশে ভারতের ভ্যারিয়েন্টে এসেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার ভয়াবহ রূপকে মোকাবিলা করতে হবে। তাই করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদাসীনতা হওয়া যাবে না। এতে বিপদ ডেকে আনতে পারেন। যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার তা অনেকেই মানছে না।
বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠ শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।