দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিবের রুমে থাকা অবস্থায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে রোজিনাকে বলতে শোনা যায় আমি ভুল করেছি, আমি মুচলেকা দেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিও দাখিল করতে সময় চেয়ে জামিন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন হিরন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী তার বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, সাক্ষ্য আইনের ২৪ ও ২৫ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অন্য কারও কাছে দেওয়া বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাই পুলিশ বা অন্য কারও কাছে আসামির কোনো বক্তব্য আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ভিডিও তার জামিন পাওয়া বা না পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো গ্রহণযোগ্য বিষয় না। রাষ্ট্রপক্ষ এটা দাখিলের জন্য সময় চাইতে পারে না, তদন্তকালে এ ধরনের ডকুমেন্টস কেবল তদন্ত কর্মকর্তা দাখিল করতে পারেন।
এরপর শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
গত সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। সোমবার রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার নম্বর ১৬।
দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। যেখানে তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে রোজিনা ইসলামকে।