কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানী ঢাকার প্রধান সড়কে যানবাহনের চলাচল সীমিত। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে জরুরিসেবা ও বিভিন্ন অফিসের স্টাফ বহনকারী গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
সড়কে একদিকে যেমন রিকশা-ভ্যান মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট গাড়ির যানজট, তেমনি রয়েছে জনসমাগম। আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। এ সময় কারওয়ান বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকেও দেখা যায় সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন।
সকালে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় বাজার এবং ব্যবসায়ীরা সারাদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করতে ভিড় জমান এ এলাকায়। এ সময় অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন, অনেকেই মানেননি। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেছেন, অনেকেই করছেন না। তবে তুলনামূলক যানবাহন কম ছিল প্রধান সড়কে। বিশেষ করে কারওয়ান বাজার থেকে বাংলামোটর, ফার্মগেট, হাতিরঝিল এবং পান্থপথের সড়কগুলোতে যানবাহন দেখা গেছে খুবই সীমিত আকারে। আর দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বেশকিছু ব্যাংকের শাখায়।
এ প্রসঙ্গে শাকিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জানান, তার বাসা ফার্মগেট এলাকায়। তবে অন্যান্য বাজারের চেয়ে থেকে কারওয়ান বাজারে কেনাকাটায় সাশ্রয়। এজন্যই তিনি সকালের দিকে এখানে বাজার করতে আসেন।
ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা ইসরাইল হক নামে এক ব্যক্তি জানান, লকডাউনের ফলে মন্দা দেখা দিয়েছে তার ব্যবসায়। দুপুরের পর ব্যাংক বন্ধ থাকায় সকালে ব্যবসার কাজের জন্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসেছেন।
এছাড়া কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যেও রয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতা। তবে কাঁচাবাজারের দিকে সে প্রবণতাটা একটু কম। প্রধান সড়কে জনগণকে সচেতন করতে পুলিশ যেমন নিয়মিত টহল দিচ্ছেন, তেমনি বাজারগুলোতেও মাইকিং করে জনসচেতন করতে কাজ করছেন তারা।