পুঁজিবাজার তালিকাভূক্ত বেসরকারি ব্যাংক আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এ মূসক ফাঁকির চিত্র উঠে এসেছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে বছরে তারা শত শত কোটি টাকা কর দেয়। তাই এক দুই কোটি টাকা ফাঁকি কোনো বিষয় না। সেটা প্রতিষ্ঠান দিয়ে দেবে।
এনবিআরের নির্দেশে মূসক গোয়েন্দারা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ২০১৪ ও ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন ও দাখিলপত্র (ভ্যাট রিটার্ন) নিরীক্ষার মাধ্যমে এ মূসক ফাঁকি বের করে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর মূসক নং- ১৯০১১০৩১৫২৪। ব্যাংকটি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের, ঢাকা (দক্ষিণ) এ আওতায় মূসক নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান।
এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ব্যাংকটি প্রায় ২ কোটি টাকার মূসক ফাঁকি দিয়েছে। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেল (সিআইসি) ব্যাংকটির মূসক ফাঁকি বের করে।
এরমধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৯ টাকার মূসক ও ফাঁকিকৃত মূসকের ওপর ২% হারে সুদ ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৩ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে এ মূসক পরিশোধ করে দেয়।
সূত্র জানায়, মূসক গোয়েন্দারা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ২০১৪ ও ২০১৫ সালের দাখিল করা বার্ষিক প্রতিবেদন, দাখিলপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিরীক্ষা করে।
নিরীক্ষায় ব্যাংকটির দাখিলপত্রে প্রদর্শিত আয়ের সাথে জমাকৃত মূসক এর অসংগতি, বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় ২ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ১৪৮ টাকা ৭৮ পয়সা সুদসহ উৎসে মূসক ফাঁকি পাওয়া যায়।
এছাড়া অগ্রিম ভাড়ার ওপর মূসক বিলম্বে পরিশোধ করার জন্য আদায়যোগ্য মূসকের সুদ ৪৪ লাখ ২৮ হাজার ৯৯০ টাকা ৪ পয়সা ও ৮ হাজার ৭০০ টাকা ৮১ পয়সার বকেয়া আবগারি শুল্ক পাওয়া যায়।
সেবা খাতের আওতাধীন ব্যাংকটির সেবা প্রদানে প্রাপ্ত কমিশন, চার্জ, ফি, বিবিধ আয়ের ওপর ১৫% মূসক ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের খরচের ওপর উৎসে মূসক প্রযোজ্য। এছাড়া ব্যাংকটির বিভিন্ন হিসাব জমার স্লাব অনুযায়ী আবগারি শুল্ক পরিশোধযোগ্য।
এদিকে সিএ ফার্মের অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় ১৭৮ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৬ টাকা এবং ২০৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯ টাকা। কিন্তু ব্যাংকটি দাখিলপত্রে ২০১৪ সালে মূসক আরোপযোগ্য আয় ৮৯ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ১৬২ টাকা ও ২০১৫ সালে ৯৯ কোটি ৪০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৮ টাকা দেখিয়েছে।
দাখিলপত্রে আয় কম দেখানোর কারণ হিসেবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতোপূর্বে দাখিলপত্রে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয় ও রপ্তানি আয় দেখানো হতো না। এসব আয় আলাদা দেখানো হয়েছে।
আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে কমিশন আয় ৮৬ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৩৩৪ টাকা। এর মধ্যে অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৯০ টাকা।
তাছাড়া ক্যাপিটাল গেইন এর পরিমাণ ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫০২ টাকা অব্যাহিতপ্রাপ্ত আয় এবং এসআরও অনুযায়ী এক্সচেইঞ্জ গেইন মূসকযোগ্য আয় নয় বিধায় এ খাতের আয় ৭৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৩০০ টাকা বাদ দিয়ে সিএ রিপোর্টে নীতি মূসক আরোপযোগ্য আয় দাঁড়ায় ৮৮ কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৪ টাকা। যার উপর ১৫% হারে প্রযোজ্য মূসক এর পরিমাণ ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৭ টাকা ১০ পয়সা।
অথচ আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক দাখিলপত্রে প্রদর্শিত মূসক ১৩ কোটি ৪২ লাখ ২২ হাজার ১২৫ টাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিশোধিত মূসক এর পরিমাণ ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৭ টাকা ৯০ পয়সা।
সূত্র জানায়, একইভাবে ২০১৫ সালের কমিশন আয় ৯৯ কোটি ১১ লাখ ৪৬ হাজার ১১৫ টাকা। এরমধ্যে অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় ১৯ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ১৭১ টাকা। তাছাড়া ক্যাপিটাল গেইন এর পরিমাণ ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ২৬৯ টাকা অব্যাহতি প্রাপ্ত আয়।
এসআরও এসআরও অনুযায়ী এক্সচেইঞ্জ গেইন মূসকযোগ্য আয় নয় বিধায় এ খাতের আয় ৮৮ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬২ টাকা বাদ দিয়ে সি এ রিপোর্টে নীট মূসক আরোপযোগ্য আয় ৯৯ কোটি ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৭ টাকা।
যার উপর ১৫% হারে প্রযোজ্য মূসক এর পরিমাণ ১৪ কোটি ৮৬ লাখ ১৫ হাজার ২৯৭ টাকা ৫ পয়সা। অথচ দাখিলপত্রে প্রদর্শিত মূসক ১৪ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার ৪৫৬ টাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিশোধিত মূসক এর পরিমাণ ৪ লাখ ৯০ হাজার ১৫৮ টাকা ৯৫ পয়সা।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি নায়, কোন কোন গ্রাহক এর সেবার বিপরীতে কমিশন না নেয়া হলেও প্রযোজ্য মূসক আদায় করার কারণে পরিশোধিত মূসক প্রযোজ্য মূসক অপেক্ষা বেশি হয়। পরিশোধিত মূসক সঠিক রাখার জন্য জেনারেল লেজারের মাধ্যমে আদায়কৃত মোট মূসক ঠিক রেখে ভ্যাট ফ্যাকটর দিয়ে গুণন করে মূসক আরোপযোগ্য মূল্য নিরুপণ করে দেখানো হয়। এই কারণে সি এ ফার্মের রিপোর্টে প্রদর্শিত আয়ের মধ্যে মূসক আরোপযোগ্য আয়ের তুলনায় দাখিলপত্রে প্রদর্শিত মূসক আরোপযোগ্য আয়ও বেশি হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মানি এক্সচেঞ্জকে এক্সচেঞ্জ গেইন হিসেবে দেখায়। এক্সচেঞ্জ গেইন মূলত মানি এক্সচেঞ্জ। মানি এক্সচেঞ্জ করযোগ্য সেবা বিধায় এর ওপর মূসক বিদ্যমান।
সূত্র অনুযায়ী, এক্সচেঞ্জ গেইন থেকে ২০১৪ সালে আয় ৭৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৩০০ টাকার বিপরীতে সুদসহ মূসক ১৭ কোটি ৯১ লাখ ১৯ হাজার ১৭ টাকা ৯০ পয়সা। একই সাথে ২০১৫ সালে ৮৮ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬২ টাকার বিপরীতে প্রযোজ্য সুদসহ মূসক ১৮ কোটি ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৮ টাকা ১০ পয়সা। দুই বছরে সুদসহ মূসক ৩৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৬ টাকা।
সূত্র আরও জানায়, ২০০৩-০৪ অর্থবছর সেভিংস সঞ্চয় গ্রহণ, লিজ ফাইন্যান্সিং, অর্থলগ্নি, ঋণদান প্রতিষ্ঠান করমুক্ত সেবা ছিল। কিন্তু ২০০৪-০৫ অর্থবছর শুধুমাত্র সেভিংস সঞ্চয় গ্রহণ ব্যতীত লিজ ফাইনানসিং, অর্থলগ্নি ও ঋণদান প্রতিষ্ঠানকে করযোগ্য সেবার আওতায় আনা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ঋণদান কার্যক্রমের বিপরীতে সুদ হিসেবে প্রাপ্ত আয়কেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ইনভেস্টমেন্ট ইনকাম হিসেবে প্রদর্শন করেছে।
এ কারণে ২০১১ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সুদ আয়ের বিপরীতে অপরিশোধিত মূসক এর পরিমাণ ৫৩১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ১২৮ টাকা এবং সুদের পরিমাণ ২৬৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭২ টাকা। অর্থাৎ সুদসহ মোট আদায়যোগ্য মূসক এর পরিমাণ ৭৯৮ কোটি ৬০ হাজার ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা।
কিন্তু বৃহৎ করদাতা ইউনিট (মূসক) এর পত্রের সূত্রে এনবিআর হতে লেখা পত্র অনুযায়ী ইনভেস্টমেন্ট ইনকামকে কোনো চার্জ, ফি বা কমিশন নয় উল্লেখ করে এই সুদ আয়কে মূসকযোগ্য নয় বলা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ ও ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, উৎসে মূসক কর্তনযোগ্য খাতে যে পরিমাণ মূসক জমা দেওয়ার কথা প্রতিষ্ঠান তার চাইতে কম মূসক জমা দিয়েছে।
নিরীক্ষা সময়ে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের খরচের উপর যে হারে উৎসে মূসক কর্তন ও জমা প্রদানের বিধান থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি সে পরিমাণ মূসক পরিশোধ করেনি।
ফলে নিরীক্ষাকালীন সময়ে অপরিশোধিত মূসক বাবদ ১ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ টাকা ৩৮ পয়সা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। অপরিশোধিত মূসক এর উপর ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত মাসিক ২% হারে সুদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৯ টাকা ৪০ পয়সা। সুদসহ অপরিশোধিত উৎসে মূসকের পরিমাণ ২ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ১৪৮ টাকা ৭৮ পয়সা।
সূত্র আরও জানায়, প্রতিষ্ঠানের সিএ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৫ সালের শেষে অগ্রিম ভাড়ার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৯ টাকা। এ ভাড়ার মধ্যে হতে ২০১৫ সালে সমন্বয় করা হয়েছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬ টাকা।
অবশিষ্ট ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩ টাকা। এ টাকার উপর পরিশোধিত স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার মূসক ১ লাখ ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা ২৭ পয়সা। যা ইতোমধ্যে সমন্বয় হয়েছে ধরে নিয়ে এর বিপরীতে আদায়যোগ্য সুদের পরিমাণ ২৪ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ টাকা ৪ পয়সা।
তবে ২০১৬ সাল নিরীক্ষা কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত না থাকায় এবং ২০১৬ সালের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার প্রকৃত খরচ না পাওয়ার কারণে অবশিষ্ট পরিমাণ ইতোমধ্যে সমন্বয় হয়েছে ধরে নিয়ে আদায়যোগ্য সুদ নিরুপন করা হয়েছে। অর্থাৎ অগ্রিম ভাড়ার বিপরীতে আদায়যোগ্য সুদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ২৮ হাজার ৯৯০ টাকা ৪ পয়সা। যা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট হতে আদায়যোগ্য।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির ২০১৪ সালে আদায়কৃত আবগারি শুল্কের পরিমাণ ১৬ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯২০ টাকা ১৫ পয়সা। এবং বছরের শেষে স্থিতির পরিমাণ ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকা ৭ পয়সা। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ২১ টাকা ৭ পয়সা ছাড়া বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করেছে।
অপরদিকে; ২০১৫ সালে আদায় আবগারি শুল্কের পরিমাণ ১৮ কোটি ২০ লাখ ৮ হাজার ৬৭৯ টাকা ৭৪ পয়সা। এবং বছরের শেষে স্থিতির পরিমাণ ১৮ কোটি ২০ লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা ৮১ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি ৮ হাজার ৬৭৯ টাকা ৭৪ পয়সা ছাড়া বাকি টাকা পরিশোধ করেছে। এই দুইবছরে বকেয়া আবগারি শুল্ক ৮ হাজার ৭০০ টাকা ৮১ পয়সা আবগারি শুল্ক পরিশোধ করেনি।
সূত্র জানায়, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষা মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত উৎসে মূসক ১ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ টাকা ৩৮ পয়সা। ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত এ মূসকের ওপর ২% হারে সুদ ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৯ টাকা ৪০ পয়সা ও অগ্রিম ভাড়ার মূসক যথাসময়ে পরিশোধ না করায় আদায়যোগ্য সুদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ২৮ হাজার ৯৯০ টাকা ৪ পয়সা। এবং বকেয়া আবগারি শুল্ক ৮ হাজার ৭০০ টাকা ৮১ পয়সা। দুই বছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট মূসক ফাঁকির পরিমাণ ২ কোটি ৮৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩৯ টাকা ৬৩ পয়সা।
এ বিষয়ে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের এসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড হেড অব পিআর জালাল আহমেদ অর্থসূচকে বলেন, এনবিআর বিষয়গুলো আমাদের এফএডি ডিপার্টমেন্ট জানে, তারা বলতে পারবে।
তিনি বলেন, একটা ব্যাংক যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স দেয় সেখানে এক-দুই কোটি টাকা ফাঁকি নিউজ করার বিষয়? বছরে আমরা শত শত কোটি টাকা দেই। এক দুই কোটি টাকা ফাঁকি হলে সেটা আবার দিয়ে দেবে সেটা কোন বিষয় না।
বাংলাদেশ সময় : ১৫১৮ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ