নাটোরের লালপুরে স্বামীর যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়ায় গৃহবধূ শারমিন খাতুনকে হত্যা করেছে স্বামী। বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্যটি জানান। নিহত শারমিন ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলার লহলামারী সাহেব গ্রামের তহুরুল ইসলামের মেয়ে।
এতে পুলিশ সুপার বলেন, দু\’বছর আগে শারমিন খাতুনের নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঝগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে সাদ্দাম হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। সাদ্দাম যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে আগের দু\’স্ত্রীকে নির্যাতন করায় তারা সাদ্দামকে তালাক দেয়। তৃতীয় স্ত্রী শারমিনকে আগের দুই স্ত্রীর মত নির্যাতন করায় পুলিশকে অভিযোগ করার কথা বলেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সাদ্দাম। এরই জেরে ২৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে শারমিনের সাথে সাদ্দামের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে সাদ্দাম শ্বাসরোধ করে শারমিনকে হত্যা করেন।
উক্ত ঘটনায় নিহত শারমিন খাতুনের ভাই রিপন আলী গত সোমবার লালপুর থানায় সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। মঙ্গলবার ভোরে তাকে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাহপাড়া উপজেলার গোপালপুর কয়েট্টা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদ্দাম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।