ডোকালাম ইস্যুতে সীমান্তে ভারত-চীনের উত্তেজনার পারদ কিছুতেই নামছে না। দুই দেশেই তাদের সেনা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে অনড়।
কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
এরই মধ্যে নিজেদের সামরিক শক্তিকে অারও বাড়াতে তৎপর মোদি প্রশাসন। সম্প্রতি নৌবাহিনীকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলতে ২০০টি হেলিকপ্টারের টেন্ডার দিল ভারত।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১১১টি নাভাল ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ও ১২৩টি নাভাল মাল্টি-রোল হেলিকপ্টারের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা থাকবে এগুলির।
সূত্রের খবর, নতুন পদ্ধতিতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ মডেলেই এই হেলিকপ্টারগুলি আসছে। এই পদ্ধতিতে ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে বিদেশের কোনও সংস্থার চুক্তি হবে যারা হেলিকপ্টারের উপকরণ প্রস্তুত করবে। মোট চারটি ক্ষেত্রে আপাতত এই মডেলে কাজ হবে সেগুলি হল- ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার, সাবমেরিন ও ব্যাটল ট্যাংক। ৬ অক্টোবরের মধ্যেই চুক্তি চূড়ান্ত হবে।
জানা গিয়েছে, এই দুই ধরেনর হেলিকপ্টার সংক্রান্ত চুক্তি দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। চেতক হেলিকপ্টারের জায়গায় আসবে এই নাভাল ইউটিলিটি হেলিকপ্টার। এছাড়া নৌসেনার যুদ্ধজাহাজে ব্যবহারের জন্য হেলিকপ্টারের অভাব রয়েছে। এর আগে ২০১৪ তে ভারতীয় নৌসেনার জন্য ১৬টিউ মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার কিনতে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিনের তরফ থেকে, সংস্থার মার্কেটিং বিভাগের কর্ণধার র্যান্ডি হওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক মাসে তিনটি বা তার থেকে বেশি এয়ারক্রাফট তৈরি করার ব্যবস্থা করব। তবে সবটাই নির্ভর করছে, ভারত ক’টা এয়ারক্রাফট কিনতে চায় আর কবে কিনতে চায়, তার উপর। ’ সংস্থার তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে যে ভারত যদি এই সংস্থাকে বেছে নেয় সেক্ষেত্রে ভারতকে F-16 ফাইটার জেটের গ্লোবাল মেনটেনেন্স হাবে পরিণত করবে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম