আগামী বছরের ১৪ই মার্চ থেকে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে আর প্রচলিত ‘কফিল পদ্ধতি’ থাকবে না। গতকাল বুধবার, (৪ নভেম্বর) দেশটির মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্স এন্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ‘লেবার রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ’ (এল আর আই) এর আওতায় ‘কফিল পদ্ধতি’ বাতিল হলে যেসব সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা-
১) চলমান চুক্তি শেষে চাকুরি ট্রান্সফারের জন্য কফিলের পারমিশন নিতে হবে না। চুক্তিবদ্ধ অবস্থায় নোটিশ দিয়ে নির্দিষ্ট সময় শেষে ট্রান্সফার নেয়া যাবে।
২) এক্সিট, রি-এন্ট্রি ভিসার জন্য কোন পারমিশন লাগবে না।
৩) চাকুরির চুক্তি শেষে কর্মী সহজেই ফাইনাল এক্সিট ভিসা নিতে পারবেন। কোন প্রকার পারমিশন লাগবে না।
৪) কফিল হুরুব লাগাতে পারবে না।
৫) তবে গৃহকর্মীরা এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত নয়।
স্পন্সর পরিবর্তন, এক্সিট রি-এন্ট্রি, ফাইনাল এক্সিট এর জন্য ফ্রী ভিসায় কর্মরত শ্রমিকরা কফিলদের অতিরিক্ত অর্থ দিতে হতো। এখন সেটির প্রয়োজন হবে না। মাসে মাসে কফিলকে নিদিষ্ট অংকের অর্থ দিতে হতো সেটা থেকেও মুক্তি মিলবে শ্রমিকদের। শুধুমাত্র সরকারি ফি সরাসরি জমা করতে হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।
শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা মিলবে চুক্তি অনুযায়ী। থাকছে ওয়েজ প্রোটেকশন সিস্টেম, ডিজিটালি ডকুমেন্টস কন্ট্রোল, মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যকার সমস্যা সমাধানে ‘উইডি’ প্রোগ্রাম।