গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিবেশী চাচিকে ধর্ষণের অভিযোগে সফিকুল ইসলাম (৩৭) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জের ভাটিরা এলাকায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম ভাটিরা এলাকার জুমুর উদ্দিন বেপারীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সফিকুল ওই গৃহবধূর প্রতিবেশী ভাসুরের ছেলে।
শনিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ (৫২) বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়ির বাইরে ছিলেন। স্বামী বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় গৃহবধূ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে গৃহবধূর প্রতিবেশী ভাসুরের ছেলে সফিকুল ইসলাম তার ঘরের দরজায় কড়া নাড়েন।
ওই সময় স্বামী এসেছে ভেবে দরজা খুলে দেন গৃহবধূ। তখন সফিকুল গৃহবধূকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে গৃহবধূর মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন সফিকুল। এরপর গৃহবধূকে ফেলে রেখে তিনি পালিয়ে যান। পরে মুখের বাঁধন খুলে গৃহবধূ ডাক-চিৎকার করলে, স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, শনিবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে সফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম পলাতক। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।