রাজধানীতে অপরিকল্পিতভাবে ঝুলে থাকা তারের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাই দায়ী বলে জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার ঝুলন্ত তারের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব), ন্যাশনওয়াইড টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশসহ (আইএসপিএবি) সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সবাই দায়ী। তবে বিটিআরসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, কিন্তু তারা এগুলো সেভাবে তদারকি করে নাই।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এর বিভিন্ন স্থানে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তার অপসারণ অভিযান তদারকি করতে এসে এসব কথা বলেন ডিএনসিসির মেয়র।
বৃহস্পতিবার সারাদিন গুলশান-২ এলাকার পাকিস্তান দূতাবাস থেকে গুলশান-১ এর শ্যুটিং ক্লাব পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের ঝুলন্ত তার অপসারণ করছে ডিএনসিসি। ঝুলন্ত তার সংক্রান্ত সভায় সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা তার সামনেই নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।
মেয়র আতিক আরও বলেন, এর জন্য সবাই দায়ী। আমি যতবার এ ঝুলন্ত তার নিয়ে মিটিং করেছি, তখন এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে দায়ী করেছে। কিন্তু দায়ী এরা আসলে সবাই। এনটিটিএন লাইসেন্স নিয়েও ১০ বছরে তারা কোনো কাজ করে নাই। বিটিআরসি তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, কিন্তু তারা এগুলো সেভাবে তদারকি করে নাই। কিন্তু তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা এসেছি। এবারই প্রথম তারা নিজেরাই নিজেদের তার কাটছেন। এটা কিন্তু তারাই কাটছেন, সিটি করপোরেশন কাটছে না।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ঢাকার সব ঝুলন্ত তার নামিয়ে ফেলা হবে। যদি এনটিটিএন নিজেদের কাজ না করে, আমরা সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের ড্রেনের নিচ থেকে পাইপ দিয়ে দেব। তারা তাদের তার সেই পাইপ দিয়ে নেবে। এর জন্য তারা আমাদের নির্দিষ্ট ফি দেবে। সংস্থাগুলো আমাদের এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।
ঝুলন্ত তার অপসারণে সাধারণ গ্রাহকদের যেন ভোগান্তি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা এমনভাবে তার কাটতে বলেছি, যেন গ্রাহকদের অসুবিধা না হয়। অনেক অভিভাবক আমাকে বলেছেন, তাদের ছেলেমেয়েরা বাসায় ইন্টারনেটে ক্লাস করেন। এর জন্য সংস্থাগুলো আমার থেকে সাতদিন সময় নিয়েছে, যেন মোড় বা ক্রসিং জায়গার তারগুলো না কাটা হয়। এখন শুধু প্রধান সড়কের তার কাটা হচ্ছে।