নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারকে আপাতত পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
তিতাস গ্যাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার।
ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, আমরা শুধু হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছি। এতে ৫ লাখ টাকার আদেশের অংশ স্থগিত চেয়েছিলাম। আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার আদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ টাকা দেওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৩৭টি পরিবারের কাছে এ টাকা বিতরণ করবেন। রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক, ডিপিডিসি, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপি, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রিট আবেদনটি দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার।
৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ১২ শতাংশ দগ্ধ মামুন নামে এক রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।