তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের আহবায়ক ডাক্তার ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাবরিনাকে গ্রেফতার দেখানোপূর্বক পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সাবরিনা কে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার এনআইডি গ্রহণ করেছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনো ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কিনা, থাকলে তা উদ্ধারসহ প্রকৃত ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক যাচাই, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদসহ সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।
আদালত ডা. সাবরিনার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ড শুনানির জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানি শেষে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গত ৩১ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তার দু’টি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।