কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলোচিত সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) বিষয়টি জানান দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ।
অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, কারাগারে আটক থাকা প্রদীপ কুমার দাশকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে এ আবেদন জমা দেওয়া হয়। আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর আদেশের শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০১৮ সালে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের দুইজনকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ১২ মে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ তারা পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফের আগে কক্সবাজারের মহেশখালী থানার ওসি, সিএমপির পতেঙ্গা, বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসব জায়গায় কাজ করতে গিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।
যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। একাধিকবার স্ট্যান্ড রিলিজও হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই অদৃশ্য ছায়ায় পার পেয়ে গেছেন প্রদীপ কুমার দাশ।
সর্বশেষ টেকনাফ থানায় যোগদান করে বেপরোয়া হয়েছেন প্রদীপ কুমার দাশ। মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে রয়েছে। এছাড়া নিরীহ লোকজনকে বন্দুকযদ্ধের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।