সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সে সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্তের লাশবাহী কফিন ঢাকায় পৌঁছাবে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ফ্লোরিডার ফোর্টলডারডেল এয়ারপোর্ট থেকে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল সি আর দত্তের কফিন নিয়ে ‘আমিরাত স্কাই কার্গো’ দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
কানাডার টরন্টো থেকে দুবাই গিয়ে বাবার কফিনের সাথী হবেন মেঝ মেয়ে ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত।
ফ্লোরিডা থেকে এসব তথ্য জানান সি আর দত্তের কনিষ্ঠ জামাতা প্রদীপ দাসগুপ্ত।
এদিকে, নিউইয়র্ক থেকে শনিবার রাতে কাতার এয়ারলাইন্সে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সি আর দত্তের একমাত্র ছেলে ডা. চিরঞ্জিব দত্ত রাজা, বড় মেয়ে মহুয়া দত্ত এবং ছোট মেয়ে কবিতা দাসগুপ্ত হ্যাপি। তারা সোমবার ভোর রাত আড়াইটায় (সি আর দত্ত’র কফিন পৌঁছানোর ৬ ঘণ্টা আগে) ঢাকায় পৌঁছার কথা।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে টিকিট সংগ্রহ এবং কফিন বহনের সুযোগ সৃষ্টির স্বার্থে কদিন দেরি হলো।
সোমবার রাত সোয়া ১১টায় ফ্লোরিডার বয়েন্টন বিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই জেনারেল। সে সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর ৭ মাস ২৩ দিন। স্ত্রী বিয়োগের পর একাকিত্ব ঘুচাতে এক দশক আগে থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছিলেন। ছেলে-মেয়েদের বাসায় নাতি-নাতনীদের সাহচর্যে দিনাতিপাত করেন।
গত জানুয়ারিতে নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডায় যান ছোট মেয়ে হ্যাপির বাসায়। নিউইয়র্কে হাড় কাঁপানো শীত তাকে কষ্ট দেয় বিধায় সেখানে গিয়েছিলেন। করোনার কারণে এপ্রিলের মধ্যে নিউইয়র্কে ফেরার প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এমনি অবস্থায় ২০ অগাস্ট বয়েন্টন বিচে কন্যা হ্যাপির বাসায় বাথরুমে পড়ে গেলে তার ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে যায়। নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার পর পায়ে অস্ত্রোপচারের সময় অচেতন করা হয়েছিল। এর ফলে আগে থেকেই নিউমোনিয়ার রোগী সি আর দত্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার কিডনীও অচল হয়ে যায়। ৩ দিন পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি অধ্যাপক নব্যেন্দু বিকাশ দত্ত শনিবার রাতে জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঢাকায় শাহজালাল এয়ারপোর্টে তার কফিন গ্রহণ করবেন। এরপর তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভিবাদন জানানো হবে।
তবে করোনার কারণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে তার কফিন নেয়া হচ্ছে না।
এদিকে, ঢাকায় সবুজবাগে একটি শশ্মান ঘাটে তার শেষ কৃত্যানুষ্ঠান হবে।