রাশিয়ার তৈরি মহামারী করোনার ভ্যাকসিন টেকসই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। সেই সঙ্গে এটি নিরাপদও। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন। মারণভাইরাসের টিকা গ্রহণ করা তার এক মেয়ে সুস্থও আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমরা প্রাণী ও স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর করোনার টিকার প্রাক-ক্লিনিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছি। এই ভ্যাকসিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে সেটা আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের কাছে একেবারেই স্পষ্ট। এর মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা আমার মেয়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। এটি ক্ষতিকর নয়। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার মেয়ে ভালো বোধ করছে।
পুতিন স্পষ্ট করে জানান, তার মেয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজের পেশাদারিত্বে জায়গা থেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তিনি। পুতিন আরো জানান, টিকা গ্রহণের প্রথম দিন মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠেছিল। প্রথম দফার ২১ দিন পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন তিনি। সে সময়ও তার দেহের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। পুতিন বলেন, আমি এর মধ্যেই তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। সে সুস্থ আছে। সবকিছু ভালোই চলছে।
স্পুটনিক ভি (স্পুটনিক ৫) হলো বিশ্বে প্রথম করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা। গত ১১ আগস্ট এই টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর তার এক মেয়ের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগের কথাও জানান তিনি।
চলতি বছরের ১১ আগস্ট রাশিয়া স্পুটনিক ভি নামে একটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিবন্ধন দেয়। এটিই হলো বিশ্বের প্রথম দেশ হয়ে যারা প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নিবন্ধন দেয়। করোনার ভ্যাকসিনটি তৈরি করে রাশিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়ের গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি।
তাসের এক খবরে বলা হয়, চলতি বছরের জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে করোনার এ টিকাটি ক্লিনিক্যান ট্রায়াল পাস করে। আর আগস্টের ১৫ তারিখ করোনার এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদন শুরু করে রাশিয়া।
: তাস