অর্থপাচার ও ২০১৬ সালে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার অব অপারেশন মৃণাল মজুমদারসহ তিনজন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এ সময় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। সাক্ষ্য দেওয়া অপর দুজন হলেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. রেজাউল হাসান ও মামলার রেকর্ডিং অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম।
এ মামলায় জামিনে থাকা ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা আদালতে উপস্থিত হন। এ ছাড়া এ মামলায় কারাগারে থাকা ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীকে (বাবুল চিশতী) আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে তাঁর জামিন আবেদন করা হয়। পরে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)-সহ চার আসামি এখনো পালাতক। অন্য তিন আসামি হলেন-ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
গত ১৮ আগস্ট আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাক্ষ্য দেন। ১৩ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এ বদলির আদেশ দেন।
গত ৫ জানুয়ারি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ১০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত বছরের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করেন।