প্রথমবার ইউরোপ সেরার ফাইনালে উঠে ইতিহাস লেখা হল না পিএসজির। ম্যাচ শেষে তাই হারের যন্ত্রণা আড়াল করতে পারলেন না ব্রাজিলিয় তারকা। লিসবনে কেঁদে ভাসালেন নেইমার।
বার্সেলোনার জার্সিতে ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিতেছিলেন নেইমার জুনিয়র। তবে তা লিওনেল মেসির ছায়াতেই থেকে গিয়েছে। আর তাই সুপারস্টার হতে বার্সা ছেড়ে প্যারিসের ক্লাবে যোগ দেন নেইমার। গত কয়েকটি মৌসুমে ব্যর্থ হলেও এবার পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখেন নেইমার। কিন্তু লিসবনের মেগা ফাইনালে তীরে এসে তরী ডুবল।
বায়ার্ন মিউনিখের সাথে তুমুল লড়াই করেও ফাইনালে পিএসজি হেরে যায় ১-০ গোলে। দারুণ রক্ষণভাগ থাকলেও পিএসজির ফিনিশিংয়ের অভাব হৃদয়টা ঝাঝড়া করে দেয় নেইমার-এমবাপেদের। রেফারির লম্বা বাঁশি জানান দিয়েছে খেলা শেষ আর তাই শেষ বাঁশি বাজার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন নেইমার। ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচের শুরুতেই নেইমারের হাত ধরে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। উজ্জীবিত হতো গোটা টিম। ১৮ মিনিটে বায়ার্নের রক্ষণে প্রথম আক্রমণই করেছিলেন নেইমার। দারুণ একটা শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ান বায়ার্ন গোলরক্ষক নয়্যার। দুই পা ছড়িয়ে বসে পড়েন তিনি। তারপরও বল ফাঁক গলে বের হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বদলে যায় বলের গতিপথ। ফলে গোল আর হয়নি।
প্রথমবার ফাইনালে উঠে স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছেও স্বপ্নপূরণ হল না পিএসজির। ম্যাচ শেষে হারের কষ্ট লুকিয়ে রাখতে পারেননি আবেগপ্রবণ নেইমার। কাছে টেনে নিয়ে তখন সান্তনা দিয়েছেন বায়ার্নের ডেভিড আলাবা। নেইমারকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন বায়ার্ন কোচ হান্স ফ্লিক। এগিয়ে এসেছেন সতীর্থরাও। কিন্তু তাতেও শান্ত করা যাচ্ছিল না নেইমারকে। বার বার চোখটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল তাঁর। ট্রফি জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা বায়ার্ন। তখন ডাগ আউটে অশ্রু মুছছেন নেইমার।
ট্রফি নিয়ে উল্লাস করা হলো না এবার পিএসজির জার্সিতে। তাই তো মেডেল পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময় যেন একবার ট্রফিটা ছুঁয়ে গেলেন নেইমার।