আসন্ন শীত মৌসুমের আগেই বাংলাদেশে মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসবে বলে সুখবর দিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।
আজ শনিবার (২২ আগস্ট) করোনাভাইরাস নিয়ে এ আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এমনটা হওয়ার কথা ছিল, কারণ গত ২০ দিন বা তার আগে দেশে অস্বাভাবিক গরম পড়েছিল। ওই সময়টায় আবহাওয়ায় হাই-হিউমিডিটি ছিল। অবশ্য প্রচণ্ড গরমে মানুষের ইমিউনিটি কমে যায়। ওই একই সময়ে আবার বিভিন্ন কারণে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মানুষের যাতায়াতও বেশি ছিল। ফলে করোনাভাইরাসেরও যাতায়াত ছিল মানুষের সঙ্গে। মানুষই করোনাভাইরাস বহন করে। সে কারণে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে ওই অণুজীববিজ্ঞানী আরও বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস মানুষকে আক্রান্ত করলেও, তীব্রতা এবং আগ্রাসী ভূমিকা অনেকটাই কমে গেছে। অনেকেই ভাইরাসের আক্রান্ত হলেও তার মধ্যে ক্লিনিক্যাল কোনো সাইন দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে আবার নিজের অজান্তেই সুস্থও হয়ে যাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য ভালো এবং সুখবর। শীত মৌসুমের আগেই বাংলাদেশ থেকে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।
গণস্বাস্থ্যের এন্টিবডি কিট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কিট বিষয়ে ফেডারেল ড্রাগ অথরিটির (এফডিএ) গাইডলাইন ফলো করতে হবে। এফডিএর গাইডলাইন খুব কঠিন কিছু নয়, সহজ বিষয়। আমরা এর থেকেও অনেক কঠিন কাজ করেছি। তবে সমস্যা হচ্ছে স্যাম্পল ক্যারেক্টাইজ করতে হবে ইন্টারন্যাশনাল গাইড লাইন অনুযায়ী।
এরপর সেটাকে আবার রিটেস্ট করতে হবে। এই টেকনিকটা আমাদের দেশে খুব বেশি সহজলভ্য নয়। আমার এটা আমদানি করার জন অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছি। এটা পেলে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে (বিএসএমইউ) দেবো। তারা নতুন করে কিট ইভ্যালুয়েশন করবেন। এন্টিজেনের যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের দেশে করা কোনোভাবেই করা সম্ভব নয়।