নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করে বলেন যে, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব সাধিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচি সবুজ বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে সংসদ ভবন চত্বরে গাছের চারা রোপণ করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ বলেন, করোনা মহামারির কারণে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তবে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটির বেশি গাছের চারা রোপণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন জাতির পিতা। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সাল থেকে সবুজায়নের জন্য প্রতি বছরই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
আওয়ামী লীগসহ দেশের জনগণকে তিনি বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বিশ্বে দ্বিতীয় কোন রাজনৈতিক দল এভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে না। তিনি বলেন, এজন্যই সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পরিবেশ বান্ধব রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত।
প্রকৃতি ও মানুষ সব কিছু মিলিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সেই ধরনের মানুষ যিনি প্রকৃতির সঙ্গে ছিলেন। আপনারা জানেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান- এ উদ্যান কিন্তু উদ্যান ছিল না। এখানে ঘোড়ার দৌড় হতো এবং সেটা নিয়ে বাজি খেলা হতো। সেটাকে তিনি বাতিল করে দিয়ে, সেখানে উদ্যান করেছেন। গাছ লাগিয়েছিলেন। নারকেল গাছের চারা তিনি লাগিয়েছিলেন। আজকে সেটা উদ্যানে পরিণত হয়েছে। ঢাকাবাসীকে স্বাস্থ্যকর একটি উদ্যান তিনি উপহার দিয়েছেন।
খালিদ আরও বলেন, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জাতির পিতা গাছের চারা লাগিয়েছেন। সেটা আজকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সুন্দরবন যদি রক্ষা না হয়; বাংলাদেশ রক্ষা হবে না।
এসময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, নাদিরা সুলতানা এমপিসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।