জাতীয় শোক দিবসের দলীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে দু’টি বিবদমান গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছে দলীয় কোন্দল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাস ছয়েক পূর্বে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের মাঝে দু’টি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে।
পরবর্তীতে দলীয় ভাবে জরুরি সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতনকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবী জানিয়ে অনাস্থা দেয় দলের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল গ্রুপ।
এর পাল্টা জবাব দিতে পরদিন সংবাদ সম্মেলন ডেকে সভাপতি অনিয়মতান্ত্রিক সভা ও বহিষ্কারের দাবীকে ষড়যন্ত্র বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এরপর থেকে দুটি বিবদমান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেরেই আগামীকাল আজ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গণ্ডগোল হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ নিয়ে শুক্রবার রাতে উপজেলায় উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। নেত্রকোনা থেকে পুলিশ সুপার এলাকা পরিদর্শনে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে লতিফুর রহমান রতন প্রতিবন্ধকতার চেষ্টা করতে পারে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিলো তাকে, সে জন্যই এমন করতে পারে।
এদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লফিফুর রহমান রতন জানান, আমি দলের সভাপতি আমাকে না জানিয়েই প্রোগ্রাম সাজিয়ে ফেলেছে তারা। আমাদের নেতাকর্মীরাও তো দলীয়ভাবে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেই। মরি বাঁচি যে কোনো মূল্যে আমরা শ্রদ্ধা জানাবো।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উভয় পক্ষের সাথেই কথা বলেছি তারা যেনো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে। আগে পরে কর্মসূচি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।