চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সরোজগঞ্জ বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী বাস একে একে মোটরসাইকেল, আলমসাধু ও ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানকে চাপা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ মাঝের পাড়ার সোহাগ (২৫), একই গ্রামের শরীফ (৩২), রাজু হোসেন (৩৫) ও শরিফুল ইসলাম ওরফে কালু (৪০) এবং পার্শ্ববর্তী খাড়াগোদা গ্রামের মিলন হোসেন ( ৪০) ও বসুভাণ্ডারদহ গ্রামের ষষ্ঠী হাওলাদার (৩৫)। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন ঘটনাস্থলে এবং বাকি তিনজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মিলন হোসেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের এআই টেকনিশিয়ান এবং বাকি পাঁচজন কৃষিশ্রমিক।
আহত তিনজন হলেন সরোজগঞ্জের বাবলু (৪৫), মোহাম্মদজমা গ্রামের আকাশ (১৮) ও তিতুদহের আলমগীর হোসেন (২৮)।
ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানের যাত্রী বেল্টু রহমান (২৫) বলেন, তিতুদহ গ্রাম থেকে মোট ছয়জন ধানের চারা তুলতে সরোজগঞ্জ যাচ্চিলেন। তাদের সামনে মিলন হোসেন মোটরসাইকেলে করে এবং বাকিরা আলমসাধুতে চড়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা সরোজগঞ্জ সিনেমা হলের কাছে পৌঁছালে রয়েল এক্সপ্রেস বাস পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসটি একটি রিকশাভ্যানকেও চাপা দেয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শামীম কবির বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আলমগীর হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান দুর্ঘটনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাস চালকের দোষে দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আটক করে পুলিশ লাইনসে রাখা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার নিহতদের পরিবারপ্রতি ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।