লেবাননের রাজধানী বৈরুতের সমুদ্র বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় একে ‘হামলা’ বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে একমত হতে পারেননি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। লেবানিজ সরকারের মতো একে দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখছেন তারা। কিন্তু এখনও নিজের ধারণায় অটল ট্রাম্প।
বৈরুতের বিস্ফোরণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং আহত পাঁচ হাজার। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বন্দরে অরক্ষিত অবস্থায় মজুদ করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ট্রাম্প মনে করেন এটি কোনও নিছক দুর্ঘটনা নয়, হামলা।
বুধবার হোয়াইট হাউজ ব্রিফিংয়ের ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘কীভাবে এটাকে দুর্ঘটনা বলছেন। যদি কেউ ভয়ঙ্কর কোনও বিস্ফোরক ডিভাইস রেখে গিয়ে থাকে। হয়তো তেমনটাই হয়েছিল। সম্ভবত এটা ছিল হামলা। আমি মনে করি না এখন কেউ সঠিক কারণ বলতে পারছে। আমরা খুব শক্তভাবে এটা নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছি।’
মঙ্গলবার ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের পর লেবাননের জনগণের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘লেবাননের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। এটি ভয়াবহ হামলা বলে মনে হচ্ছে।’
ট্রাম্পের এই ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে লেবানিজ সরকার। বরং তার এই মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা। পরে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারও জানান, বেশিরভাগ মানুষের বিশ্বাস এই বিস্ফোরণ ছিল ‘স্রেফ একটা দুর্ঘটনা।’