‘অ্যালফার্ড গ্লোবাল ফ্যাক্টরি লিমিটেড’ নামে একটি কথিত প্রতিষ্ঠানের নামে অনুমোদন নিয়ে বিভিন্নস্থানে মাস্ক ও পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করছিলেন বহু অপকর্মের হোতা প্রতারক মো. সাহেদ করিম।
আদতে এই নামে প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই। মহামারি করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলেই সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে পিপিই সরবরাহ করছিলেন তিনি।শনিবার (১৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সাহেদের নানাবিধ প্রতারণার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। করোনা সংকটের প্রথম দিকে যখন মাস্ক ও পিপিই সংকট ছিল, তখন সাহেদ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অনুমোদন নিয়ে নিম্নমানের মাস্ক ও পিপিই সরবরাহ করেন।
সাহেদ অ্যালফার্ড গ্লোবাল ফ্যাক্টরি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে সরকারিভাবে অনুমতি নিয়ে বিভিন্নস্থানে মাস্ক-পিপিই সরবরাহ করতেন। আসলে প্রতিষ্ঠানটির কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে শুধু একটি ফেসবুক পেজ খুলেই সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে পিপিই সরবরাহ করেন।
এছাড়াও তার ঠিকাদারি ব্যবসা ও প্রতারণার বিষয়ে আমরা আরও তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে রাজধানীর উত্তরাসহ কয়েকটি থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অস্তিত্বহীন একটি প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে পিপিই সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবির এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, কেন দিয়েছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।
আরেক প্রতারক ডা. সাবরিনার অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি-না, জানতে চাইলে আব্দুল বাতেন বলেন, তদন্তের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্ট মনে হবে, তাদেরই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।
তিনি বলেন, ডা. সাবরিনা ডাক্তার হিসেবে তার ফেসভ্যালু এবং পরিচিতিকে পুঁজি করে প্রতারণা করেছেন। তিনি সরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাই তদন্তে তার যেসব অনিয়মের তথ্য আমরা পাব, সেগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে জানাব। তারা অনিয়মের ভিত্তিতে বিবেচনা করবে, সেগুলো ডিপার্টমেন্টাল অফেন্স না-কি ক্রিমিনাল অফেন্স। ক্রিমিনাল অফেন্স হলে তারা যদি আমাদের কাছে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।