আফগানিস্তানে পাঁচটি সেনাঘাঁটি বন্ধ করেছে আমেরিকা। তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তির শর্ত মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন আফগানিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ। হেলমন্দ, উরুজগান, পাকটিকা ও লাঘমান প্রদেশে পাঁচটি সেনাঘাঁটি বন্ধ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে জালমে খলিলজাদ বলেন, \’মার্কিন-তালেবান শান্তিচুক্তির ১৩৫তম দিনে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনা থেকে শুরু করে অন্য ক্ষেত্রেও চুক্তির প্রথম দফা পালন করতে সমস্ত চেষ্টা করেছে আমেরিকা। ন্যাটো বাহিনীও সৈনিকের সংখ্যা কমিয়ে আনছে। এবার আমরা চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের দিকে এগোব। তবে গোটাটাই নির্ভর করবে প্রস্তাবিত শর্ত মেনে চলার উপর। বন্দিদের মুক্তি থেকে দেশে সহিংসতা কমিয়ে আনা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করা, সমস্তটাই খতিয়ে দেখা হবে।\’
এদিকে, মার্কিন সেনার এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে অভিযান চলছে। এছাড়াও, আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মার্কিন সেনা।
তবে আমেরিকা-তালেবানের শান্তিচুক্তি নিয়ে কিছুতেই আশ্বস্ত হতে পারছে না আফগান সরকার। সে দেশের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির প্রশাসন বারবার অভিযোগ জানিয়ে আসছে যে, চুক্তির শর্ত মানছে না তালেবান। আটক তালেবান জঙ্গিদের মুক্তি দিতেও রাজি নয় কাবুল। একই সঙ্গে কিছুতেই আফগান সেনাদের ওপর হামলা থামাচ্ছে না তালেবান।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় সম্পন্ন হয় মার্কিন-তালেবান ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি। মনে করা হচ্ছে, এই চুক্তির ফলেই আফগানিস্তানে ১৮ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে।