এমনেতেই চিন আলোচনায় রয়েছে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ ও মহামারী করোনাভাইরাস এর কারনে। চীন তার প্রতিবেশী ও পশ্চিমকে উসকে দেওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত অঞ্চলে উপকূল রক্ষী জাহাজ পাঠিয়েছে। এক্সপ্রেস ডটসি ও ডটইউকে বলছে, যে চীনা উপকূল রক্ষী জাহাজ ৫৪০২ হানিয়ান প্রদেশের বন্দর সানিয়া থেকে ১ জুলাই যাত্রা করেছে।
জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত তথ্য বলছে, উপকূল রক্ষী জাহাজটি স্পার্টলি দ্বীপের সুবিরিফ নামক সামরিক স্থাপনায় ২ জুলাই থেমেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের রেন্ড করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও মেরিন কোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এন্ড্রু স্কোবেল বিষয়টিকে সব জাতীয় সরঞ্জামের ও শক্তির সমন্বয়ে চীনা দাবি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বলে মনে করেন।
চীনা বেশিরভাগ উপকূল রক্ষী জাহাজ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের চেয়েও বড়। এগুলো সবই চীনা প্রেক্ষিতে দক্ষিণ চীন সাগরে স্বার্থ, উন্নয়ন ও দাবি জোরালো করা এবং পাশাপাশি উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস। ‘তারা উসকানি, চাপ, পেশিশক্তির ব্যবহার কৌশল নিয়েছে। একই সময় তারা মুলা দেখিয়ে প্রকাশ্যে সমস্যার যৌক্তিক ও দরকষাকষিমূলক সমাধান চাইছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, চীন ভিয়েতনামের নিরংকুশ অর্থনৈতিক জলসীমায় হাই ইয়াং ডিজি-৪ নামের একটি জাহাজ ৩০ জুন প্রেরণ করেছিল যা বর্তমানে অবস্থিত উপকূল রক্ষী জাহাজ ৫৪০২ থেকে ১৬৫ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পূর্বে ছিল। জবাবে মার্কিন নৌবাহিনী তাদের রণতরীগুলোর একটি গ্যাব্রিয়ালা নামের জাহাজের ছবি প্রকাশ করেছে। যা হাই ইয়াং-৪ থেকে মাত্র কয়েকশত গজ দূর থেকে যাত্রা করেছে।
বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজ এবং ইউএসএস রোনাল্ড রিগান বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরে মোতায়েন আছে মোকাবিলার জন্য। ইউএসএস রোনাল্ড রিগানের অধিনায়ক প্যাট হানিফিন বলেছেন, আমরা মিত্রদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি মুক্ত ও ইন্দো প্যাসিফিকের জন্য। ইউএসএস রোনাল্ড রিগানের বিমান বহন নমনীয়তা ও যুদ্ধের প্রাণঘাতী উপযোগিতা বিশ্বে বিরল, তিনি উল্লেখ করেন।
নিমিটজের উপযোগিতা প্রমাণ করে যে, আমরা অনেক বৃহৎ ও সমভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নৌবাহিনীর একটি অঙ্গ। দক্ষিণ চীন সাগর তিনটি দ্বীপপুঞ্জে বিভক্ত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ ও স্পার্টলি দ্বীপ। বেইজিং সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগর তার সার্বভৌম সীমানা বলে দাবি করে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দাবি সহিংসতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ চায়না, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের দাবির কারণে বিতর্কিত চীন এ অঞ্চল দখল করে রেখেছে। ইতোমধ্যে স্পার্টলি দ্বীপ চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স এবং ব্রনাই কর্তৃক দাবিকৃত।