নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করে বলেন যে, করোনা সংকটে দায়িত্বশীল ভূমিকায় ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপিকে মানুষ আগামীদিনে ‘আস্তাকুঁড়ে’ নিক্ষেপ করবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমণকে নিয়ে যেসব রাজনৈতিক দল সমালোচনা করছে বিশেষ করে বিএনপি। আমরা ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড় দেখেছিলাম, প্রায় দুই লাখ মানুষ অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছিলো। তখন কোনো ধরনের সাপোর্ট সরকারিভাবে দেওয়া হয়নি। সেসময় মারা যাওয়া পশু-প্রাণী ও মানুষকে একসঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি করোনা সংকটের শুরু থেকে বিএনপি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আমি মনে করি, এই দায়িত্বশীল ভূমিকায় যারা ব্যর্থতার পরিচয় দেবে, তাদেরকে আগামীদিনে বাংলাদেশের মানুষ ‘আস্তাকুঁড়ে’ নিক্ষেপ করবে।
শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্সসেবা চালুর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার থাকা সত্ত্বেও সরকার সাহসিকতার সঙ্গে এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা ও তিরস্কার করেছেন। বাস্তবতা হলো, ইউরোপসহ আমেরিকা রাশিয়ায় লাখ লাখ মানুষ করোনা সংক্রমণে শনাক্ত হচ্ছে, আবার হাজার হাজার মানুষ সেখানে প্রাণ হারাচ্ছেন। ইতালিতে দেড় লাখ করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে ২৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজার। মৃত্যুর হার সেখানে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এটার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশে করোনার মধ্যে আমরা কিভাবে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজকরোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের অস্বীকার করার উপায় নাই যে, বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতার কিছুটা অভাব আছে। এই করোনা ভাইরাস সমগ্র পৃথিবীতে বলা হচ্ছে স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্যে প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাদুর্ভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনা ছাড়া এত গণমাধ্যমবান্ধব নেতা আর আছেন বলে আমার মনে হয় না। শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কথা যেভাবে চিন্তা করেন, সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কথাও তিনি চিন্তা করেন। করোনার এই মহামারিতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রণোদনার আওতায় নিয়ে এসেছেন। আশা করছি, গণমাধ্যমকর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করবেন। ক্ষমতা-প্রয়োগ করে ছাঁটাই করাটা দুঃখজনক। গণমাধ্যমকে চটিয়ে কেউ কখনো এগিয়ে যেতে পারেনি। এই ভুল রাস্তায় আপনারা হাঁটবেন না কখনো। জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের পাশে আছেন এবং থাকবে।
ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য আরও রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক বাদল মাদবর।