বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় মৌসুমী বায়ু এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ বুধবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ দেওয়া এক পূর্বাভাসে মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে আবহাওয়া অফিস এমনটি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের কোনো শঙ্কা সেই।
বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
এসময় ঢাকায দক্ষিণ-পূর্ব দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। ফলে গরম অনুভব কম হতে পারে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা এবং মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা
পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আর গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সংলগ্ন মেঘালয় ও বরাক এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ফলে এসময়ে আপার মেঘনা অববাহিকার এবং দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ডিমলায় ৬০ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।