প্রাণঘাতী করোনা দুর্যোগের মধ্যেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত হয় আজ সোমবার (২৫ মে) সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমাম হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।
সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক। চতুর্থ জামাত হয় সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররমের প্রধান খাদেম মো. শহীদুল্লাহ।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হয় সকাল পৌনে ১১টায়। এতে ইমাম ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. আমির হোসেন।
নামাজ শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এর পর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে।
সরকারের নির্দেশনা মেনে নিরাপদ শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখেন মুসল্লিরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলাননি মুসল্লিরা।চলমান করোনা দুর্যোগে এবার খোলা ময়দান বা ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। পরিবর্তে মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এ ক্ষেত্রেও ১৩ দফা শর্ত আরোপ করা হয়।
এসব শর্তে বলা হয়েছে নামাজের সময় মসজিদে গালিচা বিছানো যাবে না; নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে; জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে মুসল্লিদের; সবাইকে মাস্ক পরতে হবে; মসজিদে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।