কষ্টিপাথর কেনা-বেচা নিয়ে নিয়ে রংপুরের বদরগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছে। তারা হলেন, বদরগঞ্জ পৌর শহরের স্টেশনপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহ জালাল বাবু (১৮) ও ভবেশ রায়ের ছেলে অর্জুন রায়। বাবু আজ রবিবার সকালে ও অর্জুন দুপুরের দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অর্জুনের পরিবারের লোকজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ২২ মে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুলবাড়ী এলাকায় কষ্টিপাথর ও নকল সোনারমুর্তি কেনাবেচা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অপর একটি পক্ষ নিহত বাবু ও অর্জুন গ্রুপের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় চারজনকে মাথায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় চারজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে বাবু ও অর্জন আজ রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
একটি সুত্র জানায়, দুলাল মিয়ার ছেলে সুমনের সঙ্গে বহিরাগত একটি গ্রুপের মধ্যে কষ্টিপাথর ও সোনার নকলমুর্তি কেনাবেচার সম্পর্ক ছিল। গত ২২ মে বহিরাগত ওই গ্রুপের কয়েকজন সুমনের বাড়ী আমরুলবাড়ী এলাকায় আসেন। এ সময় নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমন গ্রুপের চারজনকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় বহিরাগত কয়েকজন। এ সময় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আজ দুইজন মারা যায়।
শাহ জালাল বাবুর ভাবি জান্নাতুল ফেরদৌসী নিপা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের কাছে রহস্যজনক। কিভাবে কি হলো আমরা নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না।’
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘কি নিয়ে বিরোধ। কোথায় ঘটনা ঘটেছে তা জানতে এজকন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লাশ দুটি ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কেউ কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনি।’