প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে শ্রমিক সংকটের কারণে জমির পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসহায় কৃষকরা। দুশ্চিন্তার ভাঁজ কৃষকের মাথায়। এর ওপর কালবৈশাখী ঝড় মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ক্রমে নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার) পিপিএম বার এর নির্দেশে কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহেদ আহমেদ, নরসিংদী মডেল থানা ওসি সৈয়দুজ্জামান এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সদস্যরা নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল কালাই গোবিন্ধপুর গ্রামে এক কৃষকেব ৪৫ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। পরে তা মাড়াইও করে দেন পুলিশ সদস্যরা। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও মিডিয়া সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক রুপম কুমার সরকার।
ধান উৎপাদনের প্রান্তিক কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, জমির ধান পেকে গেছে। তার উপর বৃষ্টি বাদল। ধান ঘরে তুলতে না পারলে সব শ্রমই বিফলে যাবে। কিন্তু আমি ধান কাটার জন্য লোক পাচ্ছিলাম না। এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা এসে আমার পাকা ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছে। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। আমি জেলা পুলিশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, পুলিশ সদস্যরা এখন মানবিক মূল্যবোধ সামনে রেখে কাজ করে চলছে। যেখানেই সমস্যা, সমস্যা সমাধানে সেখানেই পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে যাচ্ছেন। তেমনি কৃষকের শ্রমিক সংকট দূর করতে আমরা এবার কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি। এর আগেও আমরা কয়েকজন কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি।