\’হ্যালো\’ আপনি এমপি শামীম ওসমান সাহেব, \’\’হ্যা\’\’ বলতেই কান্নার শব্দ

\’\’হ্যালো, আপনি এমপি শামীম ওসমান সাহেব।\’\’ উত্তরে \’\’হ্যা\’\’ বলতেই গৃহবধূর কান্নার শব্দ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের অভাবের কথা জানিয়ে ওই গৃহবধূ বললেন, \’\’আমার অভাবী ছিলাম না। আমার স্বামীর কাজ নেই। ঘরে টাকা নেই, খাবার নেই। আজকে কিছু না পেলে আমার সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকবো।\’\’ কথা শেষ না হতেই শামীম ওসমান বললেন, \’\’কোথায় থাকেন? ঠিকানা দিন। কোন চিন্তা করবেন না।\’\’

নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা এলাকার ধোপাপট্রি এলাকা থেকে গৃহবধূ শুক্রবার বিকালে সাংসদকে জানায় তার অভাবে কথা। ওই গৃহবধূর স্বামী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কথা শুনেই শামীম ওসমান ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের জন্য ৪ প্যাকেট খাবার। যার মধ্যে তেল, আটা, চাল ও পেঁয়াজ ছিল এবং নগদ ১০ হাজার টাকা একটি লোক মারফত পাঠিয়ে দিয়েছেন। পরে আমরা খাবার ও টাকা পেয়েছি বলে শামীম ওসমান স্যারকে জানিয়েছি।

এদিকে একই দিনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাশে ফতুল্লার মেঘনা তেল ডিপো সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করছেন ৩৬টি পরিবার। তাদের সবাই দিন এনে দিন খাওয়া লোক। সংসারের কেউ মুচি, কেউবা রিক্সাচালক কিংবা ভ্যানচালক। আবার অনেকেই দিনমজুর। অথচ একসময় ফতুল্লায় তাদের সহায় সম্পত্তি সবই ছিল। মুনিঋষি গোত্রের এই পরিবারগুলির একসময় চামড়া ব্যবসা ছিল। ছিল ঢাক-ঢোল বাজানোর পেশা। সময়ের বিবর্তনে আজ সবই হাতছাড়া হয়েছে তাদের।

খাবার ও টাকা পৌঁছে দেয়া গণমাধ্যম কর্মী দিলিপ কুমার মন্ডল জানান, এমপি শামীম ওসমান পত্নী লিপি ওসমান গোপনে-প্রকাশ্যে যেখানে যেভাবে দেয়া দরকার খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ মোটরসাইকেল টিম দিয়ে রাতের আঁধারে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। দুজনের মোবাইলে ম্যাসেজ দিলেই পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। শহরে জহামতলা এলাকার পরিবারটি অভাবী ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির শিকার।

প্রসঙ্গত, ওসমান পরিবারে সদস্যরা করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই ত্রান বিতরণসহ নানা কর্মকান্ডে সক্রীয়। এছাড়া শামীম ওসমান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা বিরতরণ করেছেন। তার স্ত্রী লিপি ওসমান এ পর্যন্ত ৫-৬ হাজার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।

Scroll to Top