মহামারী করোনার কারণে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। সিলেটে ত্রাণের ৩০ কেজি চালের বস্তার ভেতর থেকে ২-৩ কেজি গায়েব হয়ে যাচ্ছে। বস্তায় চাল কম থাকার ব্যাপারে কোনো সদুত্তরও দিতে পারছেন না খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা। ফলে চাল বিতরণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে ত্রাণের চাল বিতরণের সময় ভয়াবহ এই অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে। বস্তায় কম থাকায় মেয়রের নির্দেশে চাল বিতরণ বন্ধ রেখেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সান্তনু দত্ত সন্তু।
কাউন্সিলর সন্তু জানান, তার ওয়ার্ডের জন্য ৪ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৩০ কেজি করে ১৩৩ বস্তায় ৪ টন চাল থাকার কথা। চাল বিতরণ করতে গিয়ে দেখেন বেশিরভাগ বস্তায় ২-৪ কেজি চাল কম। বিষয়টি তিনি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অবগত করলে তিনি চাল বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোজ কান্তি দাস চৌধুরী জানান, চালগুলো চট্টগ্রাম থেকে এসেছে। আসার সময় বস্তা থেকে কিছু চাল পড়ে গিয়ে কমতে পারে। কিন্তু সকল বস্তায় চাল কম থাকার বিষয়টি রহস্যজনক। এ ব্যাপারে গুদামের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, শুধু ১৩নং ওয়ার্ড নয়, ১৬, ১৭ ও ২০নং ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত চালের বস্তায় কম পাওয়া গেছে। বস্তায় চাল কম থাকায় বিতরণ করতে গিয়ে কাউন্সিলররা বিপাকে পড়ছেন।