কভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি ইপিজেডের ৬৯টি কারখানা ‘লে অফ’ ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে। কার্যাদেশ না থাকা, শিপমেন্ট না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দেশি-বিদেশি এসব কারখানা মালিকরা ‘লে-অফ’র জন্য ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম ইপিজেডের ৪৬টি এবং কর্ণফুলী ইপিজেডের ২৩টি কারখানা এই আবেদন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে। সে হিসেবে ইপিজেড দুটির প্রায় ৩৫ শতাংশ কারখানা ‘লে অফ’র দিকে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী ইপিজেডে কারখানা আছে ৪১টি এবং শ্রমিক কাজ করে ৭৬ হাজারের মতো। অপরদিকে চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানার সংখ্যা ১৫৮টি এবং শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম খুরশিদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, মোট ৪৬টি কারখানা কর্তৃপক্ষ লে অফের জন্য অনুমোদন চেয়েছে।
কর্ণফুলী ইপিজেডের জিএম মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ জানান, গত ৫ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ লে অফের জন্য আবেদন করেছে। তাদের ইপিজেডে মোট ২৩টি কারখানা বিভিন্ন মেয়াদে লে অফের জন্য আবেদন করেছে।
এ বিষয়ে বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, কারখানাগুলো লে অফে গেলেও নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
শ্রম আইন অনুযায়ী, লে-অফ চলাকালে প্রথম ৪৫ দিনের ক্ষেত্রে পূর্ণকালীন শ্রমিকের মোট মূল মজুরি, মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক দিতে হয় মালিককে। পরের ১৫ দিনের জন্য শ্রমিক পাবে পাবে ২৫ শতাংশ মূল বেতন এবং বাড়ি ভাড়া।
লে-অফ ঘোষণার উদ্যোগে উদ্বেগ জানিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লে অফ ঘোষণা কাম্য নয়। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে লে অফ শ্রমিকদের আরও ‘বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দেবে’।